প্রকাশ: ৬ জুন ২০২৫, ১৬:১৯
জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতসহ রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, এ বছর ঈদের দিন রাতের বেলায় ৫০০টি এবং দিনে ২৫০টি পেট্রোল টিম শহরজুড়ে নিরাপত্তা দেবে। শহর ফাঁকা হলেও কোনো গাফিলতির সুযোগ রাখা হবে না।
ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করবেন। প্রধান বিচারপতি, উপদেষ্টা এবং কূটনীতিকরাও অংশ নেবেন। ৪টি পুরুষ ও ১টি নারীদের প্রবেশ গেইট থাকছে জামাতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য।
বায়তুল মোকাররমে মোট ৫টি জামাত হবে, যার প্রথমটি সকাল ৭টায়। যদি আবহাওয়া খারাপ হয় তবে জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাত বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীতে ১১৮টি ঈদগাহ ও ১৬২১টি মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া শিয়া, কাদিয়ানি এবং সৌদি অনুসারীদের ১১টি জামাতও অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএমপি জানায়, ঈদগাহ ও আশপাশের এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। তিনটি প্রধান প্রবেশপথে থাকবে ব্যারিকেড ও তল্লাশি ব্যবস্থা। আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও ম্যানুয়াল চেকিংয়ের মাধ্যমে মুসল্লিদের প্রবেশ করানো হবে।
নারীদের জন্য আলাদা নিরাপত্তা ও প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত থাকবে, ডিবি ও সিটিটিসি সদস্যরাও মাঠে থাকবেন। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার এবং অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় কার্যক্রম।
জাতীয় মসজিদসহ অন্য জামাতস্থলগুলোতেও একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্রাইম বিভাগের পক্ষ থেকে আয়োজকদের সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। একটি জামাতও নজরদারির বাইরে থাকবে না।
ডিএমপি কমিশনার নগরবাসীকে অনুরোধ করেছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ বা ধারালো বস্তু নিয়ে জামাতে না আসতে। তল্লাশি কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে এবং সন্দেহজনক কিছু দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে বলেন তিনি। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় করণীয় পালনেরও আহ্বান জানান।