কবে গণভবনকে জাদুঘর হিসেবে খোলা হবে এবং কি কি থাকছে জানলেন উপদেষ্টারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:১৪ অপরাহ্ন
কবে গণভবনকে জাদুঘর হিসেবে খোলা হবে এবং কি কি থাকছে জানলেন উপদেষ্টারা

ঢাকা, ৭ আগস্ট ২০২৪: দেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে জাদুঘর হিসেবে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। শনিবার দুপুরে গণভবন পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৬ বছরের শাসনের চিত্র তুলে ধরা।



নাহিদ ইসলাম জানান, গণভবন যেভাবে আছে, সেভাবেই রাখা হবে, তবে ভবনটির সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হবে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের তালিকা। এটি ভবনের ইতিহাসের একটি অংশ হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে, যা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। 


জাদুঘর তৈরির জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি। এই কমিটি গণভবনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং এর সাথে সম্পর্কিত নথি ও তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রদর্শন নিশ্চিত করবে। 



আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, জাদুঘরের কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি গণভবনের নথি, সংগ্রহশালা এবং প্রদর্শনীর উপকরণ প্রস্তুতির কাজ করবে। এটি নিশ্চিত করবে যে, গণভবনের ইতিহাসের বিভিন্ন দিক সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং দর্শকদের জন্য এটি একটি শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা হবে।



গণভবনের নিরাপত্তা এবং সংরক্ষণের বিষয়ে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভবনটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপগ্রেড করা হবে যাতে দর্শনার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। এছাড়াও, ভবনের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান, যেমন প্রধানমন্ত্রীর অফিস এবং বৈঠক কক্ষ, দর্শকদের জন্য উপযোগী করে তোলা হবে।


এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানও পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, গণভবন জাদুঘর হিসেবে খোলার মাধ্যমে দেশের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।



গণভবনকে জাদুঘর হিসেবে রূপান্তরের এই উদ্যোগটি সাধারণ মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে, এটি দেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোর প্রতি জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং একটি মূল্যবান সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে থাকবে।



গণভবনকে জাদুঘর হিসেবে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি দেশের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি মূল্যবান শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।