আর একটু দেরি হলে ভারতীয় সেনা দেশে ঢুকে পড়ত বাংলাদেশে: ড. এম শাহীদুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
আর একটু দেরি হলে ভারতীয় সেনা দেশে ঢুকে পড়ত বাংলাদেশে: ড. এম শাহীদুজ্জামান

বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শাহীদুজ্জামান সম্প্রতি একটি আলোচনায় মন্তব্য করেছেন যে, আর একটু দেরি হলে ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশে প্রবেশ করত। তার এই বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।


ড. এম শাহীদুজ্জামান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং তার পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তবে তিনি সতর্ক করে দেন যে, যদি কিছু ক্ষেত্রে দেরি হত, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠত এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে অবস্থান করার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারত।


তিনি বলেন, "ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করেছে, তবে পরিস্থিতি অন্যভাবে মোড় নিতে পারত যদি আমাদের স্বাধীনতা লাভে কিছুটা দেরি হত। তখন হয়তো ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের দেশে স্থায়ীভাবে অবস্থান করত, যা আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারত।"



মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের জন্য সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা প্রদান করেছিল। ড. শাহীদুজ্জামান এই সহায়তার গুরুত্বকে স্বীকার করে নিয়েছেন, তবে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, সেই সময়ে কিছু কূটনৈতিক এবং সামরিক সিদ্ধান্ত দেশের সার্বভৌমত্বের উপর প্রভাব ফেলতে পারত।


তিনি বলেন, "ভারতের সহযোগিতা ছাড়া আমাদের পক্ষে স্বাধীনতা অর্জন করা কঠিন ছিল। তবে আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের নেতৃত্ব সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যা আমাদের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে।"


ড. এম শাহীদুজ্জামান বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি মনে করেন যে, দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করাও অপরিহার্য।


তিনি বলেন, "বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে ভালো অবস্থানে আছে, তবে আমাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে যেন কোনোভাবে আমাদের জাতীয় স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।"


ড. শাহীদুজ্জামানের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন এবং মনে করছেন যে, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরি। অন্যদিকে, কিছু মহল তার বক্তব্যকে অতিরঞ্জিত বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে, বাংলাদেশ সবসময়ই তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষম ছিল এবং থাকবে।