নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক কলেজ ছাত্র গাছ থেকে পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে চর জুবলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামে ইউসুফ মেম্বার বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আরমান হোসেন ছাবিদ (১৭), তিনি একই গ্রামের ইউসুফ মেম্বার বাড়ির খলিল উল্লাহর ছেলে। আরমান সৈকত সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আরমান বাড়ির বাদাম গাছের ডালপালা কাটার জন্য গাছে ওঠেন। গাছের এক ডালে পা রাখতেই সেই ডাল ভেঙে তিনি নিচে পড়ে যান। পড়ে যাওয়ার পর তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন এবং অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি তাকে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মৃত্যুর খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সেখানে শোকের ছায়া নেমে আসে। সকলেই শোকে মুহ্যমান এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে। স্থানীয়দের মতে, আরমান ছিল অত্যন্ত প্রিয় একজন ছাত্র এবং তার অকাল মৃত্যু সবাইকে মর্মাহত করেছে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন মিয়া জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের তদন্তে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায়, মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরমানের অকাল মৃত্যু তার পরিবার এবং এলাকাবাসীর জন্য এক বড় ধাক্কা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আরমান ছিল শান্তশিষ্ট এবং পড়াশোনায় অনেক ভালো। তার এমন অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর কারণে পুরো পরিবার শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে।
এদিকে, এলাকাবাসী মনে করছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। গাছের ডাল কাটার সময় নিরাপত্তা বিধির প্রতি সবার নজর দেওয়া উচিত, বিশেষ করে যারা এই ধরনের কাজ করেন।
এ দুর্ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার মতো গাছের কাজের সময় সতর্ক থাকার গুরুত্ব পুনরায় মনে করিয়ে দেয়। একই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও গাছ কাটার সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে।
নিহতের পরিবারকে এই শোকসন্তপ্ত সময়ে সমবেদনা জানাচ্ছে এলাকার সব মানুষ এবং তারা আশা করছে, এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা আর ঘটবে না।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।