জেঁকে বসেছে শীত। বাংলা ক্যালেন্ডার বলছে ২০ পৌষ, ১৪৩০। বেড়েছে ঠান্ডার প্রকোপ। এমন সময়ে সর্দি, হাঁচি ও কাশির সমস্যা বাড়ে। সেই সাথে হাঁচিতো আছেই। তাও আবার একের পর এক। শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডাজনিত সমস্যাগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে অন্যতম ভরসা হতে পারে আমলকি। শীতের সকালে আমলকির রস কিংবা গোটা আমলকি খেলে শরীর ও ত্বকের জন্য যথেষ্ট উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয়।
আমলকির গুণাগুণ সম্পর্কে সকলের জানা। তবে এই অসাধারণ উপাদান খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। এর অম্ল স্বাদের কারণে অনেকেই আমলকি খেতে চান না। কিন্তু এমন কিছু সহজ উপায় আছে যার সাহায্যে অতিসহজেই খাওয়া যেতে পারে এই উপকারী ফল।
এই ফলে আয়রন, বিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ থাকে প্রচুর পরিমানে। যা আমাদের ইম্যুনিটি বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। শরীর ও ত্বকের জন্য যথেষ্ট উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয় আমলা বা আমলকি।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ থেকে শরীরের মেটাবলিজম বাড়ানোতে যথেষ্ট সাহায্যকারী বলে বিবেচিত হয় আমলকি।
গোটা ফলটি খেতে না চাইলে, কাঁচা আমলকির জুস বানিয়ে নিতে পারেন। ছবি: গেটি ইমেজ।
কাঁচা আমলকির জুসের বিকল্প হিসেবে রোদে আমলকি শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এভাবে আমলা পাউডার বানাতে পারেন। এ ছাড়া বাজারে আমলা পাউডার কিনতে পাওয়া যায়। এবার এই মিশ্রণ সামান্য উষ্ণ জলে মিশিয়ে পান করলে পাওয়া যাবে সুফল।
আচার খেতে পছন্দ করে থাকলে, আমলকির আচারও বানিয়ে খাওয়া যায়। তবে এতে বেশি মাত্রায় প্রিজার্ভেটিভ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বানানোই সবচেয়ে উত্তম। এই আচার স্বাদেও ভালো আবার এর গুণেও কমবে হাজার শারীরিক সমস্যা।
শীতকালে বেশিরভাগ মানুষেরই ভারী খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়ে। আমলকি এই মৌসুমে হজম শক্তি ভালো রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি খাদ্যতালিকাগত ফাইবার সমৃদ্ধ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, আনন্দবাজার, গুড লাইফ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।