পটুয়াখালীর গলাচিপায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়ায় বেঁচে গেলেন শহিদুল মোল্লা (৪০)। শহিদুল মোল্লা উপজেলার আমখোলা ইউয়িনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারআনি বাউরিয়া গ্রামের আব্দুল কাসেম মোল্লার ছেলে।
আহত শহিদুল মোল্লা জানান, গত ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে বৌ বাজারের আবাশন প্রকল্প আমার বাসা থেকে বৌ বাজারে আসার পথে নজরুল ডাক্তার দোকানের পশ্চিম পাশে রাস্তার ঢালে বসে হঠাৎ ৩/৪ জন ছেলে আমাকে আচমকা লাথি মারে।
আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। কোপটি আমার দাড়িতে লাগে। হঠাৎ আমার জ্ঞান ফিরে আসলে আমি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি।
গলাচিপা থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে ওই রাতেই আমাকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
তিনি আরো বলেন, আমার বোনের জন্য ঢাকায় বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য বৌ বাজারে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পথিমধ্যে আমার টাকা ও একটি টর্চলাইট নিয়ে যায়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুব্রত বলেন, শহিদুল মোল্লা আমার চিকিৎসাধীনে ২য় তলায় ২২ নম্বর বেডে ভর্তি আছে। তার মুখমন্ডলের দাড়িতে চারটি সেলাই আছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলা জখমের দাগ আছে।
এ বিষয়ে আহত শহিদুল মোল্লার স্ত্রী আকলিমা বেগম জানান, আমার স্বামীকে দুর্বত্তরা মেরে ফেলতে চেয়েছিল। ৯৯৯ নম্বরে ফোন না দিলে আমার স্বামীকে ওরা মেরে ফেলত।
ইউপি সদস্য নারায়ন মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। শহিদুল মোল্লা এ ব্যাপারে গলাচিপা থানায় মামলা করবেন বলে জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।