২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তের জন্য নতুন করে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে এই মামলার পুনঃতদন্ত করা উচিত। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দেয়ার পর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরক মামলার ৭৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এই মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মোট ৩৮ আসামির বিষয়ে হাইকোর্ট রায় দেয়। আদালত, প্রথমে বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডের সাজা, পরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের খালাস প্রদান করেছে।
হাইকোর্টের বেঞ্চ, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে এই রায় প্রদান করা হয়। তাদের পর্যবেক্ষণে, বর্তমান তদন্তের অবস্থা ও বিচারিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। আদালত উল্লেখ করে যে, যে ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল, তা এমন একটি দৃষ্টান্ত হতে হবে যা ভবিষ্যতে কোনও পক্ষের প্রভাব বা হস্তক্ষেপের সুযোগ না দেয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মূলত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো ওই হামলায় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ নেতা-কর্মী আহত হন। এতে প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান প্রতিদ্বন্দ্বী, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারা প্রাণে বেঁচে যান।
এদিকে, হাইকোর্টের রায়ের পর, মামলার তদন্তে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করছেন আইনজীবীরা। আশা করা হচ্ছে, এই মামলার পুনঃতদন্তে সুবিচার প্রতিষ্ঠা হতে পারে, এবং গ্রেনেড হামলার প্রকৃত দোষীরা বিচারাধীন অবস্থায় থাকবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।