রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলার তিন জনকে মুত্যুদণ্ড ও ৮ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুস সামাদ পিন্টু, আরিফুল ইসলাম মানিক ও লুৎফুল ইসলাম সবুজ। এর মধ্যে সবুজ পলাতক রয়েছেন। আর খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আক্তার রেশমা, সিরাজুল ইসলাম কালু, আল-মামুন, সাগর, জিন্নাত আলী, ইব্রাহীম খলীল ও আরিফ।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন বিচারক অনুপ কুমার রায়।মামলার চার্জশিটে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখায় কর্মরত নাসরিন আখতার রেশমার সঙ্গে শফিউল ইসলাম লিলনের দ্বন্দ্বের জেরে তাঁর স্বামী যুবদল নেতা আবদুস সালাম পিন্টু এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ডক্টর শফিউল ইসলাম লিলনকে।
পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর যুবদল নেতা আবদুস সামাদ পিন্টুসহ ছয়জনকে ঢাকা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আখতার রেশমাকেও আটক করে গোয়েন্দা শাখা পুলিশ। ঘটনার এক বছর পর ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা শাখা পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক রেজাউস সাদিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। একজন ছাড়া মামলার ১০ আসামি বর্তমানে জামিনে আছেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।