প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪০
জুলাই গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের ১১তম দিন মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। এদিন মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে মামলায় আহতরা, চিকিৎসক, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং শহিদদের পরিবারের সদস্যরা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের সাক্ষ্যে উঠে এসেছে পুলিশের নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা, হেলিকপ্টার থেকে গুলি বর্ষণ এবং মরদেহ পোড়ানোর বিস্তারিত। এই সাক্ষ্যগুলো থেকে পরিষ্কার হয় যে, ওই সময়ে গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে চলমান এই মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হিসেবেও সাক্ষ্য দেবেন।
প্রতিদিনের সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং তার দেওয়া তথ্য মামলার মূল বিবরণীকে আরও দৃঢ় করে। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, আইজিপি আল মামুন নিজের সাক্ষ্য দিয়ে সব অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন এবং শিগগিরই তার পূর্ণ সাক্ষ্য নেয়া হবে।
এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান থাকায় ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কড়া করা হয়েছে। আদালতে হাজির হওয়া প্রত্যেক সাক্ষীর তথ্য গুরুত্বসহকারে নথিভুক্ত করা হচ্ছে।
মামলার প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে, ততই ঘটনার বিশদ চিত্র সামনে আসছে। ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সকল সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
জুলাই গণহত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে মামলার তহবিল, নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সমন্বয়কে আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান এই মামলার ফলাফলের দিকে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় পর্যায়ে নজর রয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রত্যেক সাক্ষ্য মামলার প্রকৃত সত্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।