প্রকাশ: ১ জুন ২০২৫, ২০:৪৪
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১ জুন) রাজধানীর বনানীতে ‘নগদ’-এর প্রধান কার্যালয়ে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালিত এই এনফোর্সমেন্ট অভিযানে নিয়োগে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদারকি কার্যক্রম চালিয়ে বেশ কিছু অসঙ্গতির প্রমাণ মিলেছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন। তিনি জানান, ‘নগদ’-এর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানের পর দুদক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদ ও তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, নিয়োগ সংক্রান্ত আরও তথ্য ও সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে। তদন্তের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবানবন্দি নেওয়া হতে পারে। এতে প্রকৃত ঘটনার একটি স্পষ্ট চিত্র পাওয়া সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে শুরু হয়েছে পৃথক অনুসন্ধান। দুদক জানিয়েছে, এই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ‘নগদ’ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
রেকর্ডপত্র সংগ্রহের পর সেগুলো বিশ্লেষণ করে কমিশনের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে দুদক।
এমন অভিযানের ফলে আবারও আলোচনায় এসেছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি। সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট মহলে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।