প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১৪:২
গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সম্প্রতি দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে তাকে আগামী ৩ জুন সকাল ১০টায় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদালতের এই নির্দেশনার পেছনে রয়েছে এক অডিও ক্লিপ, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং যেখানে ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পাওয়ার কথা বলা হয়।
এই অডিও নিয়ে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ফরেনসিক বিশ্লেষণ চালিয়ে নিশ্চিত করেছে যে, সেটি শেখ হাসিনার কণ্ঠ। এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, ওই অডিওতে বলা হয়, “আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।” এমন বক্তব্যকে আদালতের ওপর সরাসরি হুমকি এবং বিচারিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছে।
রোববার (২৫ মে) ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ জারি করে এবং সোমবার (২৬ মে) দুইটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি আকারে তা প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, অভিযুক্ত শেখ হাসিনার জবাবদিহি করা প্রয়োজন।
এদিকে, শেখ হাসিনার আইনজীবী বা ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগীরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, এটি বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এক নতুন দৃষ্টান্ত হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই শেখ হাসিনা আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা যায়। তবে তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য প্রকাশ পায়নি।
এখন নজর ৩ জুনের দিকে, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতির মধ্য দিয়ে মামলার গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।