জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় বাবা ছেলে, দুই ভাইসহ ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। এদের মধ্যে পলাতক ২ জন ছাড়া সব আসামীদের বিকেলে জয়পুরহাট কারাগারে নেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার আমুনিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আশরাফ আলী মন্ডলের ছেলে আজিজার রহমান, সাহেব আলীর ছেলে শাহাদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, মৃত শুকুর আলীর ছেলে মোজাম, মোসলেম, মোসলেমের ছেলে আমিনুর, আশমত উল্যাহর ছেলে আবুল কাশেম, মৃত সফাত উল্যাহর ছেলে আশত, মৃত সোলাইমানের ছেলে সেকেন্দার, সেকেন্দারের ছেলে শাহীন মোল্লা, ইয়াকুব আলীর ছেলে আকরাম আলী, মৃত আফরাফ আলীর স্ত্রী জিন্নাহ ও মৃত মেহের আলী মন্ডলের ছেলে আব্দুস ছাত্তার। এদের মধ্যে আজিজার, আবুল কাশেম ও আকরাম পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৯ জুন ক্ষেতলাল উপজেলার আমুনিয়াপাড়া গ্রামের মনসুর আলী ফকিরের একটি গরুর বাছুর প্রতিবেশী মোজামের বাড়িতে গেলে মোজাম বাছুরটিকে বেধরক মারপিট করেন। একারণে সেদিন রাতে মনসুর বাছুরটিকে মারপিটের কারণ জিজ্ঞাসা করলে আসামীরা উত্তেজিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মনসুর ও তার ছেলে ফিরোজের উপর হামলা করে মারপিট করেন। আসামীদের মারপিটে বাবা ছেলে গুরুতর আহত হলে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাদের হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে ফিরোজ মারা যান। এ ঘটনায় ১৩ জুন নিহতের বাবা থানায় মামলা করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজবি আবু নাসিম মো: শামিমুল ইমাম শামিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।