ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সড়কগুলোতে অনুমোদনহীন যানবাহনের চলাচল প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ভটভটি, ট্রলি ও ট্রাক্টর, যা পরিবহন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনহীন এবং নিরাপত্তা মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বেপরোয়া গতি, উচ্চ শব্দ ও কালো ধোঁয়া নির্গত হওয়ার কারণে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব যানবাহন চলাচলের ফলে পথচারীদের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ভটভটি, ট্রলি ও ট্রাক্টর তৈরিতে শ্যালো মেশিন, পাওয়ার টিলার ব্যবহার করা হয়েছে, যা অনুমোদনহীন। এসব যানবাহনের চালকরা সাধারণত ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন এবং মাসোহারা নিয়ে এসব যানবাহন চলাচল করাচ্ছেন। এই যানবাহনগুলোর কারণে প্রতিনিয়ত পথচারীদের ও গাড়ির চালকদের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষত ট্রলির ক্ষেত্রে হেডলাইটের অভাব রয়েছে, ফলে রাতের বেলা এ যানবাহন চলাচল করলেই দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া, ট্রাক্টর ও ট্রলির পেছনে বড় বিট থাকার কারণে গ্রামীণ সড়ক দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুল লতিফ বলেন, এসব যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং চালকদের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এক শিক্ষক আখতারুজ্জামান লাকু বলেছেন, ট্রলির হেডলাইট না থাকার কারণে রাতের বেলা সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। সাবেক চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বলেন, বিট যুক্ত চাকার কারণে সড়ক দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, যা দীর্ঘমেয়াদে পরিবহন ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ বলছে, এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য তারা কাজ শুরু করেছে। ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল হেলাল মাহমুদ জানিয়েছেন, তারা ট্রাফিক বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে অনুমোদনহীন যানবাহনগুলো বন্ধ করার ব্যবস্থা নিচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌসও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কুড়িগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ভটভটি, ট্রলি ও ট্রাক্টর অনুমোদনহীন যানবাহন হিসেবে গণ্য হয় এবং এগুলোর চালকদের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তিনি আরও জানান, এসব যানবাহনের নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।