ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর বাগদাদ থেকে সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। মঙ্গলবার রাতে ওই হামলার পর কানাডার প্রতিরক্ষা প্রধান জোনাথন ভ্যান্স জানান, এই হামলার পর তাদের সৈন্যদের নিরপত্তার স্বার্থে ইরাকে মোতায়েন ৫০০ সৈন্য কুয়েতে সরিয়ে নেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে ইঙ্গিত করে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদিরা আমাদের প্রধান শত্রু। তারা আমাদের সামরিক শক্তি সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি করতে কাজ করছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এই হামলার পর বলেছেন, তারা যুদ্ধ অথবা উত্তেজনা চান না। তারা চান সব পক্ষের মধ্যে শান্তি বিরাজ করুক।
এদিকে ইরানের অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানিকে দাফন করা হয়েছে। বুধবার তার নিজ শহর কেরমানে ইরানের শীর্ষ এই সামরিক কমান্ডারকে দাফন করা হয়। কেরমানে সোলেইমানির জানাযায় লাখো জনতা সমাবেশ হয়। উপস্থিতরা আমেরিকা নিপাত যাক বলে স্লোগান দিতে থাকে। সেখানে জানাযা অংশগ্রহণ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে হত্যা করা হয় ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানিকে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ইরাকে অবস্থিত দু’টি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রেস টিভি জানিয়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।