ইরানির প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে বাবগাদ বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় সোলাইমানি এ হামলার শিকার হন।
জানা যায়, দুটি আমেরিকান এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন দিয়ে এই হামলা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক জেনারেল অ্যাটোমিকস নির্মিত এই অস্ত্র মার্কিন সামরিক বাহিনী ২০১৭ সাল থেকে ব্যবহার করছে। এর আগে এমকিউ-১ প্রিডেটর ব্যবহার করা হতো। দ্য এমকিউ-৯ রিপারের উল্লেখযোগ্য উড়াল সক্ষমতা, ব্যাপক সেনসর, বহুবিধ যোগাযোগ সুইট ও নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সক্ষমতা রয়েছে বলে মার্কিন বিমান বাহিনীর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়।
৯/১১ হামলার পর অস্ত্র হিসেবে ড্রোন ব্যবহার করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। আর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় সেটা আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। ট্রাম্প সেটাকে বাড়িয়ে নতুন মাত্রা দিয়েছেন। ২০১৯ সালের মার্চে ওবামা আমলের নীতি প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। এতে যুদ্ধাঞ্চলের বাইরে কতজনকে ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয়েছে। সেই সংখ্যা প্রকাশ করতে হতো।
উল্লেখ্য, ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর বিদেশি অভিযানের দায়িত্ব যে আল-কুদস ফোর্স বাহিনীর প্রধান ছিলেন ৬২ বছর বয়সী সোলাইমানি। হামলায় বিপ্লবী গার্ডসের পাঁচ ও হাশেদের পাঁচ সেনা নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র তাকে হত্যা করতে চায় জানার পরেও একেবারে সাধারণ জীবন যাপন করতেন সোলাইমানি। তবে কড়া নিরাপত্তা নিয়ে চলাফেরা করতেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।