মিয়ানমারে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তার দেশের সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে মিয়ানমারের রাখাইনে কোনো গণহত্যা হয়নি। দেশটির রাষ্ট্রদূত এমন সময় এই কথা বললেন যখন গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাঠগড়ায় রয়েছে মিয়ানমার।
জাপানের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গাম্বিয়ার আবেদন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত খারিজ করে দেবে বলেও তার সরকার আশা করে।
মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতী অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর জাপানই প্রথম মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কথা জানায়। অন্যদিকে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস খোলাখুলিভাবেই বলেছে যে তারা এই বিচারে গাম্বিয়ার পক্ষাবলম্বন করবে। কারণ হিসেবে দেশদুটি বলেছে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিরোধ করতে ও আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতার স্বার্থে তারা গাম্বিয়ার পক্ষ নিয়েছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইচিরো মারুয়ামা বৃহস্পতিবার বলেন, “আমি মনে করি না মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে বা তাদের এরকম কোনো উদ্দেশ্য ছিল। রাখাইনের সব মুসলিমদের হত্যা করতে তাদের কোনো ইচ্ছা রয়েছে বলেও আমি মনে করি না।” ২০১৬ ও ২০১৭ সালে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলার প্রেক্ষিতেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যা করার করেছে, এমন মন্তব্যও করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।