ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে পতন ঘটল ক্ষমতাসীন বিজেপির। বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনবিরোধী চলমান বিক্ষোভের সময় রাজ্যটি হারাল তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, বিজেপিকে সরিয়ে ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতার নিল কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-র জোট। সোমবার ভোট গণনার শুরু থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যায়। কিন্তু বেলা গড়াতেই ভোটের ফলাফল জোট শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়তে শুরু করে। তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসকে।
রাজ্যটির বিধানসভায় মোট আসন ৮১টি। আর সরকার গড়তে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ৪১। ফলাফলে দেখা গিয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ৪৯টি আসন জিতেছে জোট। বিপরীতে বিজেপি জয় পেয়েছে ২২ আসনে। নির্বাচনের ফল স্পষ্ট হতেই রাজ্যজুড়ে জোট শিবিরের উল্লাসের ছবি দেখা গিয়েছে। কোথাও চলছে মিষ্টিমুখ, আবার কোথাও বাজি পোড়ানো হয়। রীতিমতো উৎসবে মেতে উঠেছেন কংগ্রেস ও জেএমএম সমর্থকেরা।
এর আগে শিবসেনার সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ায় মহারাষ্ট্র হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। সেই তুলনায় ছোট রাজ্য হলেও ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সে দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। এর মধ্যে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে দেশব্যাপী বিক্ষোভ পালটে দেয় পুরো পরিস্থিতি। ২০০০ সালে গঠিত এই রাজ্য গত মাসেই ২০ বছরে পা দিয়েছে। এটি ছিল রাজ্যটির চতুর্থ বিধানসভা নির্বাচন।
রাজ্য গঠনের পরেও ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক অচলাবস্থা অব্যাহত থেকেছে একেক সময়। জোট ভেঙেছে। নতুন জোট হয়েছে বারবার। তিনবার রাষ্ট্রপতিও শাসন জারি হয়েছে। ২০ বছরে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ৬ জন। কেউ কেউ দু’বারও। মোট ১০ বার শপথ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীদের। কিন্তু রঘুবরের আগে কোনো মুখ্যমন্ত্রী আড়াই বছর পর্যন্তও টিকে থাকতে পারেননি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।