টাইফুন হাগিবিসের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়েছে জাপান। প্রবল ঝড়ের সঙ্গে ঝরেছে অঝোর বৃষ্টি। বিপর্যয়কর এ ঘূর্ণিঝড়ে দেশটির কমপক্ষে ৩৬টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিশাল বিশাল ঢেউয়ে জলাশয় থেকে জনবসতিতে ঢুকে পড়েছে পানি। ঘটেছে ভূমিধসের ঘটনাও। যাতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭০ জন। আহতের সংখ্যা দুই শতাধিক। আর সরকারি হিসাব মতে নিখোঁজ আছে কমপক্ষে ১৬ জন।
গত ১২ অক্টোবর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানী টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে ইজু উপদ্বীপের পাশে হনসু দ্বীপের কাছে আছড়ে পড়ে হাগিবিস। ঝড়-বৃষ্টিতে ধ্বস নেমেছে অন্তত ৪৮টি স্থানে। ভেঙে গেছে চিকুমাসহ নয়টি নদীর পাড়। জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে টোকিও এবং তার আশপাশের এলাকায়। দেশটির পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং উপকূল রক্ষী বাহিনীর প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার সদস্য উদ্ধার কাজে নেমেছে। নাগানোসহ বিভিন্ন এলাকায় ২৭ হাজার উদ্ধারকর্মী পৌঁছেছেন।
তবে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার দিন শেষেই শক্তি হারিয়েছে হাগিবিস। বাতাসের বেগও কমে গেছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ক্রমশ শক্তি কমে হাগিবিস নিরক্ষীয় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে সরে গেছে জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলের দিকে। তবে মধ্য জাপানের নাগানোর অবস্থা এখনও গুরুতর। সেখানকার কোথাও কোথাও বাড়ির দোতলাতেও পৌঁছে গেছে পানি। নাগানোর কাছে বুলেট ট্রেনের ইয়ার্ডও প্রায় ডুবে গেছে। দেশটির মন্ত্রিসভার প্রধান সচিব ইয়োশিহিদে সুগা এক বিবৃতিতে জানান, হাগিবিসের আঘাতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার বাড়ি।
পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ১ লক্ষ ৩৩ হাজার বাড়িতে। ব্যাহত হয়েছে ল্যান্ডলাইন ও মোবাইল সেবা। ইচিয়ারা ও চিবা এলাকায় কমপক্ষে ৭০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, এই দুর্যোগের প্রেক্ষিতে ৩ সহস্রাধিক লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। যা দেশের ৪৭টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬ প্রদেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।