জম্মু-কাশ্মীরের কারাগারে বন্দি রাখার জায়গা নেই, পাঠানো হচ্ছে অন্য রাজ্যে
গণগ্রেপ্তার অভিযানের ফলে জম্মু-কাশ্মীরের কারাগারে বন্দি রাখার জায়গা নেই। ফলে গ্রেপ্তারকৃতদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভারতের অন্য রাজ্যের কারাগারে। বিশেষ মর্যাদা বাতিল ঘোষণার আগের দিন থেকে সেখানকার ৩০০ রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ভারত। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যটির সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাহও।
এনডিটিভি জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৩০ জনকে কাশ্মীর থেকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে এসব বন্দিদের সেখানে পাঠানো হয়। আগ্রার কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হবে তাদের। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দমন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তারকৃত অনেকের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ রয়েছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা সূত্রে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, গত কয়েকদিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরজুড়ে গণগ্রেপ্তার অভিযান চলছে। তাতে বহু লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ধরপাকড়ের ফলে সেখানকার জেলগুলোতে আর জায়গা নেই। এর মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু বন্দিদের অন্য রাজ্যের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা জেলের মধ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে, এমন আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে তিনি জানান।
সোমবার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে অঞ্চলটি কার্যত পুরোপুরি দখলে নিয়ে নিল ভারত। ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর সামরিক পরিস্থিতি জারি করা হয়েছে সেখানে। মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যসভার এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফুঁসছে অঞ্চলটির জনগণ। কারফিউ ভেঙে এরই মধ্যে রাস্তায় নামা শুরু করেছে মানুষ। মঙ্গলবার রাতেই শ্রীনগরের বেশ কিছু জায়গা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের অন্ধ করে দেওয়ার ‘পেলেট গান’ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।