
প্রকাশ: ৪ আগস্ট ২০১৯, ২:২০

জাপানের রাজধানী টোকিও শহরের ঠিক গা ঘেঁষেই সাইতামা প্রিপেকচারের কোশিগায়া সিটির গামো স্টেশন এলাকায় একটি অত্যাধুনিক বড় জুয়ার আসর (পাচিঙ্কু) ভেঙ্গে তৈরী করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সর্ববৃহৎ মসজিদ কমপ্লেক্স। এটি হবে জাপানের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মসজিদ কমপ্লেক্স। এখানে থাকছে শিক্ষা, গবেষণা, অতি থিদের আবাসন ও ইসলামি সংস্কৃতি বিনিময়ে ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ও দাওয়াতি বিভাগ। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ বিশেষ করে জাপানিরা ২৪ ঘন্টা ইসলামি সংস্কৃতি ও মুল্যবোধ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবে। এখানে একসাথে প্রায় ২ হাজার লোক নামাজ আদায় করতে পারবে। সেইসাথে রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের বিশাল স্টেশন। প্রবাসী মুসলমান বিশেষ করে বাংলাদেশীদের সহযোগিতায় জাপান সরকার অনুমোদিত সর্ববৃহৎ এ ইসলামিক সেন্টারটি সারা জাপানব্যাপী দাওয়াহ কার্যক্রমের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।
এদিকে, জাপান সরকার অনুমোদিত ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন থেকেই সারা জাপান ব্যাপী দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিত্রে প্রতিবছর অসংখ্য জাপানি ইসলাম সম্পর্কে জেনে শ্বাশ্বত শান্তির পথ ইসলামের ছায়াতলে আসছে। বর্তমানে জাপানের জুয়ার আসর পাচিঙ্কুর ভবনসহ জায়গাটি ক্রয় করতে প্রায় ১৮০,০০০,০০০ জাপানি ইয়েন বা ১৬ লাখ ৬২ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। টোকিও শহর থেকে গা্মো স্টেশন ট্রেন এ ২০ মিনিট। গামো স্টেশন থেকে ১০ মিনিটের হাঁটার দূরত্বে দোতলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক এই মসজিদ কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হচ্ছে। প্রায় দেড় হাজার স্কয়ার মিটার আয়তনের এই বিশাল কমপ্লেক্সটি কার্যক্রম শুরু হলে এটি হবে জাপানের সর্ববৃহৎ মসজিদ কমপ্লেক্স। এখানে একসাথে অর্ধ শতাধিক গাড়ি পার্কিং করা যাবে। এছাড়াও প্রয়োজনে আশপাশে আরো শতাধিক কয়েন গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সটিতে বর্তমানে যা থাকছে- অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত দোতলা বিশিষ্ট ভবনটিতে পুরুষ-নারীদের জন্য পৃথক অজুখানা ও ৫ ওয়াক্ত নামাজের ব্যবস্থা।

মসজিদটি নির্মাণে শুধু জাপান সরকারই সহায়তা করেনি, জাপানি অনেক কোম্পানিও আর্থিকভবে সাহায্য করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশি। বর্তমানে জাপানে মুসলমানের সংখ্যা কত তার সরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী এ সংখ্যা ২ লক্ষাধিক বলে ধারণা করা হয়। এসব মুসলমানদের ১০ শতাংশই জাপানি বংশোদ্ভূত। জাপানে লোকসংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব