প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৮
সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ‘৩য় ফ্যাশন অ্যান্ড টেক্স এক্সপো ২০২৫’-এ অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল। মধ্যপ্রাচ্যের সম্ভাবনাময় বাজারে বাংলাদেশের পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণে এই সভায় নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
জেদ্দার স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নার্গিস মোর্শেদা, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সৈয়দা নাহিদা হাবিবা এবং কনস্যুলেটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ বছর এক্সপোতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল বাদন ফ্যাশন লিমিটেড, ফারিহা নিট টেক্স লিমিটেড, রিনাউন অ্যাপারেলস লিমিটেড, ইনফিনিটি আউটফিট লিমিটেড, আরাবি ফ্যাশন লিমিটেড, ভিজুয়াল নিটওয়ারস লিমিটেড, আনাম গার্মেন্টস লিমিটেড, বেঞ্চমার্ক অ্যাপারেলস লিমিটেড, সানড্রাই ওয়্যারস লিমিটেড ও এক্সপেরিয়েন্স গ্রুপ।
অংশগ্রহণকারী রপ্তানিকারকরা জানান, সৌদি আরবের ক্রেতাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে এবং বেশ কিছু প্রাথমিক অর্ডারের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেন, সৌদি আরবের দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজার বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন রপ্তানিকারকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পণ্যকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে রাখতে হলে গুণগত মান বজায় রাখার পাশাপাশি নকশা ও প্যাকেজিংয়ে আরও মনোযোগ দেওয়া জরুরি। তিনি এ এক্সপোকে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিশাল বাজারে প্রবেশের সেতুবন্ধন হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও জানান, জেদ্দা কনস্যুলেট বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে সৌদি চেম্বার অব কমার্সসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নার্গিস মোর্শেদা বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সরকারি নীতি ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় জরুরি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত রপ্তানিকারকরা কনস্যুলেটের এই উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। তারা আশা প্রকাশ করেন যে সৌদি-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে এবং পোশাক খাতের পাশাপাশি অন্যান্য খাতেও রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।
এক্সপো উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে আগত রপ্তানিকারক, উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সম্মানে স্থানীয় হোটেলে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখে।