প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫২
কাতারের দোহায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ নেতাদের ওপর ইসরাইলি হামলার ঘটনায় অবশেষে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এই হামলার ধরণ তাকে সন্তুষ্ট করেনি এবং এর ফলে গাজায় শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, পুরো পরিস্থিতি নিয়ে তিনি খুশি নন। তার মতে, এটি কোনোভাবেই ভালো পরিস্থিতি নয়। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার করে তিনি জানান— যুক্তরাষ্ট্র বন্দিদের ফেরত চায়, কিন্তু হামলার ধরনে তিনি সন্তুষ্ট নন।
ট্রাম্পের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টাও ইসরাইলের এই পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন এক কর্মকর্তা জানান, এই হামলার আগে ট্রাম্পকে সরাসরি অবহিত করা হয়নি। বরং যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইনের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি জানানো হয়।
ঘটনার পরপরই ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে কাতারের কাছে বিবৃতি পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে পরিস্থিতি তখন অনেকটাই জটিল হয়ে ওঠে। কাতারিদের কাছে বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টার সময় ঘটনাটি অনেক দূর গড়িয়ে যায়।
এর আগে সোমবার উইটকফ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এক শীর্ষ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকের সময় আসন্ন হামলার বিষয়ে তাকে কিছুই জানানো হয়নি। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন আরও বাড়তে পারে।
অন্যদিকে, কাতার ইতোমধ্যেই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দোহা মনে করছে, এ ধরনের পদক্ষেপ শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, ইসরাইলের একতরফা এই পদক্ষেপ কেবল হামাস নয়, বরং কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সমন্বয়েও প্রভাব ফেলবে। এর ফলে ভবিষ্যতে গাজা নিয়ে যেকোনো শান্তি উদ্যোগ বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
ঘটনার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরাইলি পদক্ষেপ ও মার্কিন অসন্তুষ্টি মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্প প্রশাসন কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে কতটা সক্ষম হয়।