প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৫:৩৫
কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীর হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত সাম্প্রতিক যুদ্ধে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে বলে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে এক নৈশভোজে অংশ নিয়ে ট্রাম্প এসব কথা জানান। তিনি বলেন, বাস্তবে যুদ্ধবিমানে গুলি চালানো হচ্ছিল এবং প্রায় পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। তবে তিনি স্পষ্ট করেননি, কোন দেশের বিমানগুলো ধ্বংস হয়েছে।
২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে একটি বড়ো সামরিক অভিযান চালায়। ওই হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। এর পর ৭ মে রাতে দুই দেশের মধ্যে চার দিনের বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও স্থল হামলার ঘটনা ঘটে, যা আন্তর্জাতিক মহলকে সতর্ক করে দেয়।
ট্রাম্প তার বক্তব্যে দাবি করেন, এই যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে তার প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং তাদের মধ্যে সংঘাত বাড়ছিল। তিনি বলেন, তারা যদি যুদ্ধ চালায়, তাহলে বাণিজ্যচুক্তি হবে না বলে সতর্ক করেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, ভারতের সরকার দাবি করেছে, এই সংঘাতের অবসান সম্পূর্ণ দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে হয়েছে এবং এতে কোনো বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ ছিল না। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের মন্তব্য ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি নতুন দিক যোগ করেছে, বিশেষ করে যখন দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা এবং পারমাণবিক ক্ষমতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার দাবি অনুযায়ী, বিদেশি ক্ষমতার হস্তক্ষেপ ছাড়াই এই সংঘাত সমাধানের ব্যাপারে ভারতের অবস্থান দৃঢ়।
পহেলগাম সংঘর্ষ এবং পরবর্তী যুদ্ধবিমান ধ্বংসের ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রতিফলন এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সংঘর্ষ মোকাবিলার জটিলতা তুলে ধরে।
অবশেষে, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং টেকসই সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ পাচ্ছে।