বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব অব্যাহত রাখার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
শুভেচ্ছা বার্তায় ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে তিনি ড. ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, এ সময়টি বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির সক্ষমতা গড়ে তোলার একটি সুযোগ। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব অব্যাহত রাখতে চায়। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে পারবে। এছাড়া ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা বৃদ্ধিতেও একসঙ্গে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশাবাদী।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা দিবসের এই শুভক্ষণে বাংলাদেশের জনগণ তার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য শুভকামনা জানান এবং ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে, বুধবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই শুভেচ্ছা বার্তা প্রকাশ করে। এতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্তায় বলা হয়, দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্ব কেবল অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রেও বিস্তৃত। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ট্রাম্পের এই শুভেচ্ছা বার্তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেতে পারে। উভয় দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নের পথকে আরও সুদৃঢ় করতে পারে।
বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের জন্য এটি একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরের বেশি সময় পরও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের গুরুত্ব ক্রমাগত বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশের শুভেচ্ছা বার্তা বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে।