বিরামপুরে ১২টি স্বর্ণের বারসহ যুবক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২১শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
বিরামপুরে ১২টি স্বর্ণের বারসহ যুবক গ্রেপ্তার

দিনাজপুরের বিরামপুরে ১২টি স্বর্ণের বারসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার উপজেলার মুকুন্দপুর বাজার থেকে জয়দেব মহন্ত নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনি বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার গিরেন মহন্তের ছেলে। বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  


পুলিশ জানায়, স্বর্ণের বার ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে এক যুবক মুকুন্দপুর বাজারে অবস্থান করছে এমন গোপন তথ্য পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে জয়দেব মহন্তকে আটক করা হয় এবং তার শরীর তল্লাশি করে ১২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের ওজন প্রায় ১ কেজি ২৫০ গ্রাম, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১ কোটি ৩৯ লাখ ১৮ হাজার ১২৫ টাকা।  


পুলিশ জানায়, আটককৃত ব্যক্তি স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে দিনাজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।  


বিরামপুর থানা সূত্র জানায়, স্বর্ণ চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় পুলিশের নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালানকারীরা দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল। তবে সাম্প্রতিক অভিযানের ফলে তাদের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।  


স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুকুন্দপুর বাজার এলাকাটি সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে চোরাচালানকারীদের তৎপরতা অনেক বেশি। পুলিশের এই তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়ে তারা এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানান।  


অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, স্বর্ণ চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান রয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ ধরনের অভিযান চালানো হয় এবং আমরা সফলভাবে স্বর্ণ উদ্ধার করতে পেরেছি। আটক ব্যক্তি চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  


বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আরও জানান, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এ অঞ্চলে চোরাচালান রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় জনগণকেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার এবং সন্দেহজনক কোনো কার্যক্রম দেখলে পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে।  


এ ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ চোরাচালান প্রতিরোধে আরও তৎপর ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে।