যশোর, কুমিল্লা ও দিনাজপুর বোর্ডের চেয়ারম্যান ওএসডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ১৯শে জানুয়ারী ২০২৫ ১০:১৩ অপরাহ্ন
যশোর, কুমিল্লা ও দিনাজপুর বোর্ডের চেয়ারম্যান ওএসডি

তিন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান একসঙ্গে ওএসডি হওয়ার ঘটনা শিক্ষা খাতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধ্যাপক খোন্দকার কামাল হাসান, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল করিম, এবং দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধ্যাপক স ম আব্দুস সামাজ আজাদকে ওএসডি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকায় সংযুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে রোববার (১৯ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। 


অধ্যাপক খোন্দকার কামাল হাসান মাত্র ১৬ দিন আগে যশোর শিক্ষা বোর্ডে যোগদান করেছিলেন। এর আগে তিনি বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, দলীয় সুবিধাভোগিতা এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর ২৪ অক্টোবর তিনি ওএসডি হয়েছিলেন। 


অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল করিম একই দিনে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। তাকেও অল্প সময়ের মধ্যে ওএসডি করা হয়। অন্যদিকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধ্যাপক স ম আব্দুস সামাজ আজাদ ২০২৩ সালের ৬ জুন যোগদানের পর তার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই ওএসডি হলেন। 


জানা গেছে, তিনজনকেই ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে এই পদক্ষেপের পেছনের কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। 


অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা বোর্ড পরিচালনায় নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণেই তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 


শিক্ষা খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত শিক্ষা প্রশাসনে স্থায়িত্বের অভাব সৃষ্টি করতে পারে। চেয়ারম্যানদের ওপর আনা অভিযোগ যথাযথভাবে তদন্ত করা উচিত এবং যদি অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। 


তিন বোর্ড চেয়ারম্যানের ওএসডি হওয়া নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যেও আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে এই সিদ্ধান্তকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। 


এই ঘটনার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বশীলতার জন্য ভবিষ্যতে এই ধরনের বিতর্ক এড়ানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।