পৌষের শীতের সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি শহরের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। শহরের বাজার, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক, মধুপুর, ভাঙ্গা ব্রিজ, বটতলী, চেঙ্গী স্কোয়ারসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব দোকানে প্রতিদিন ভিড় করছেন পিঠাপ্রেমীরা। সন্ধ্যা হলেই গরম-গরম পিঠার গন্ধে মুখর হয়ে ওঠে এই এলাকায়।
মোস্তফার চিতই পিঠার দোকান এমন একটি জায়গা, যেখানে ধোঁয়া ওঠা গরম পিঠা কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। দোকানে ১০ টাকায় চিতই পিঠা, ২৫ টাকায় ডিম চিতই, ১০ টাকায় ভাপা পিঠা পাওয়া যাচ্ছে। এর সঙ্গে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে ধনেপাতা, মরিচবাটা বা শুঁটকির ভর্তা।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠার চাহিদাও বেড়েছে। শহরের প্রায় প্রতিটি কোণায় সন্ধ্যার আগে থেকেই দোকানিরা চুলায় আগুন জ্বেলে পিঠা বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসব দোকানে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা কেউ সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন পিঠা, আবার কেউ দোকানের সামনেই বসে খাচ্ছেন।
দোকানি মোস্তফা জানান, তিনি প্রতিদিন ২০-২৫ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করেন। ১৫ বছর ধরে শীত মৌসুমে পিঠার ব্যবসা করছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আগে আয় ছিল ভালো, তবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় এখন লাভ কমছে। তবুও প্রতিদিন ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা লাভ হচ্ছে।’’
মাসুদুর রহমান নামের আরেক পিঠা বিক্রেতা বলেন, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করেন তিনি। দুধ চিতই পিঠার জন্য বিশেষ চাহিদা রয়েছে, যা প্রতিদিনই এলাকার মানুষ কিনে নিয়ে যান।
ক্রেতারা বলছেন, শীতকালে পিঠা না খেলে যেন শীত উপভোগই হয় না। তবে বাড়িতে পিঠা বানানোর ঝামেলা এড়াতে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানই তাদের প্রধান ভরসা। চাল গুঁড়া থেকে শুরু করে পিঠা বানানোর যাবতীয় ঝামেলা না করেই দোকান থেকে সহজে পিঠা কিনে খেতে পারছেন তারা।
ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে প্রতিদিন বিক্রির ধুম পড়ছে। এসব পিঠার স্বাদ, দাম এবং সহজলভ্যতাই দোকানগুলোকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। চিতই পিঠা, ভাপা পিঠার পাশাপাশি ডিম চিতই এবং দুধ চিতইয়ের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।