বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৮শে নভেম্বর ২০২৪ ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা, গান এবং কবিতা পাঠের মাধ্যমে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বুধবার (২৭ নভেম্বর) কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সভায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে দেশ মাতৃকার জন্য আত্মত্যাগ করা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের অবদান স্মরণ করেন।


এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহআলম মিয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফাতেমা হেরেন। তিনি বলেন, “বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ। এই আন্দোলনের শহীদরা শুধু আমাদের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়, তারা আমাদের প্রেরণা, যাদের আত্মত্যাগ আজও আমাদের পথ দেখায়।”


আলোচনা সভার শুরুতে কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. রেজাউল করিম পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, এরপর পবিত্র গীতা পাঠ করেন বাংলা বিভাগের প্রভাষক পরিতোষ চন্দ্র রায় এবং পবিত্র ত্রিপিটক পাঠ করেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মেরি সান। 


বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মো. ইউসুফ আলী, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. আবু ইউসুফ, এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. ফারুক হোসেন। তারা বলেন, এই আন্দোলন ছিল আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, যা আজও আমাদের সমাজে বৈষম্য মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রেরণা হিসেবে কাজ করছে।


এছাড়াও, ড. ফাতেমা হেরেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঝড়ের খেয়া' কবিতা আবৃত্তি করেন, যা সভায় উপস্থিত সবাইকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. রাসেল সিকদার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন নিয়ে স্ব-রচিত কবিতা পাঠ করেন।


সভার শেষে পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুস সবুর খান এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক শ্যামল চন্দ্র মিত্র সুললিত কন্ঠে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। 


সবশেষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহআলম মিয়া। 


এ অনুষ্ঠানটি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জাগাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।