নওগাঁ শহরের ইয়াদ আলীর মোড় নামক স্থানে সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত আব্দুল মজিদ (৫৮) নামের সেই বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। গত ২২ দিন আগে হামলায় আব্দুল মজিদের ভাই কাবিল হোসেন (৩৮) ও শফিকুল ইসলাম (৪৫) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা সকলেই ইয়াদ আলী মোড় এলাকার আফজাল হোনেসের ছেলে।
জানা গেছে, গত ২নভেম্বর রাত ১০টা নাগাদ আব্দুল মজিদসহ তিন সহোদর ইয়াদ আলীর মোড়ে গোস্তের দোকানে বসে ছিলেন। এসময় হঠাৎ করেই সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল যোগে ৪/৫জন এসে অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে মজিদ. কাবিল ও শফিকুলকে গুলি চালিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালানোর সময় হামলাকারীরা ১টি পিস্তল ও ১টি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসলপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসকরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আব্দুল মজিদকে বাড়িতে রেখে চিৎকিসা দেওয়ার লক্ষ্যে সোমবার সকালে নওগাঁয় নিজের বাসায় নিয়ে আসা হয়।এরপর রাতেই তাঁর শারিরীক অসুস্থ্যতা বেড়ে গেলে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। গতকাল মঙ্গলবার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আব্দুল মজিদের মরদেহ দাফন করা হয়। এতে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মিরা অংশ নেন।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এপর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রধান আসামীসহ জরিতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।