ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের পাকিস্তান সফর

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌম্যা সাহা , কলকাতা প্রতিনিধি ভারত
প্রকাশিত: শনিবার ৫ই অক্টোবর ২০২৪ ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের পাকিস্তান সফর

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চলতি মাসে পাকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার ভিত্তিতে, এটি ৯ বছরের মধ্যে প্রথমবার কোনো ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাকিস্তান সফর। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১৫ ও ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে এসসিও সম্মেলন। জয়শঙ্কর এই সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নিশ্চিত করেছেন যে জয়শঙ্কর এই সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এসসিও-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও আমন্ত্রণপত্র পৌঁছেছে, তবে তার উপস্থিতি এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।


এই সফরটির তাৎপর্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। নয়াদিল্লি থেকে এই সফরকে কৌশলগত একটি বড় সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এসসিও-এর মাধ্যমে ভারত, চীন, রাশিয়া এবং পাকিস্তানসহ অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।


সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, যা ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তার মূল লক্ষ্য আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো ভারত, চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। সম্মেলনে রাষ্ট্রপ্রধানদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়, তবে বিভিন্ন মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর আঞ্চলিক নিরাপত্তায় ভারতের ভূমিকা আরও দৃঢ় করতে সহায়ক হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।


শেষবার ২০১৫ সালে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পাকিস্তান সফর করেছিলেন। এরপর এই প্রথমবার ভারতের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানে যাচ্ছেন, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।