ইসরায়েল রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ, টিকে থাকবে আর মাত্র পাঁচ বছর ?

বিশ্বের অন্যতম বিতর্কিত রাষ্ট্র ইসরায়েল নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে একটি অশনি সংকেত—ইসরায়েল রাষ্ট্র টিকে থাকবে মাত্র পাঁচ বছর। এই মন্তব্যটি করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞরা ও ইসলামি পণ্ডিতরা । এর অন্যতম কারন তাঁরা মনে করেন , যতবার ইহুদি দেশ গঠন হয়েছে ৮০ বছরের বেশি টিকেনি , সেই হিসেবে এই দখলদার ইহুদি দেশের বয়স ৭৫ বছর ইতিমধ্যে । 

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ সংঘাত, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি নীতি একটি ক্রান্তিকালে পৌঁছেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার বিভিন্ন সময় বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, ইসরায়েলের জন্য নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এছাড়া, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং আন্তর্জাতিক চাপের ফলে ইসরায়েলের অবস্থান আরও দুর্বল হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলি ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে, যা ইসরায়েলের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদে ইসরায়েলের অস্তিত্বের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ইসরায়েলের নিরাপত্তা কৌশল ও অভ্যন্তরীণ নীতিতে পরিবর্তনের জন্য জোরদার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, যদি ইসরায়েল দ্রুত সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের রাজনৈতিক মানচিত্র পাল্টে যেতে পারে।

এদিকে, ইসরায়েলের নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম বিশেষত একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আশাবাদী, কিন্তু সরকারী নীতির কারণে তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিচ্ছে। ইসরায়েলের গণমাধ্যমও এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে এবং সরকারের উচিত ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া।

বিশেষজ্ঞরা আরও সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যদি ইসরায়েল তার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যাগুলো সমাধানে ব্যর্থ হয় এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা না করতে পারে, তবে ইসরায়েলের অস্তিত্বের ওপর এই পূর্বাভাস সত্যি হতে পারে। বর্তমানের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন আলোচনা ও গবেষণা চলছে, যা ভবিষ্যতে ইসরায়েলের জন্য একটি টর্নেডোর মতো প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিদিন যেভাবে মুসলিমদের উপর আক্রমণ অত্যাচার করছে এই ইহুদিবাদি দেশটি , তাই পবিত্র তালমুদের ভবিষৎবাণী মিলবে বলে মনে করছেন ইসলামি বিশ্লেষকরা । অচিরেই দখলদার ইহুদিরা ধ্বংস হবে।