এশিয়ার সুপার পাওয়ার হতে বাংলাদেশের পাসে থাকবে - কানাডা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
এশিয়ার সুপার পাওয়ার হতে বাংলাদেশের পাসে থাকবে - কানাডা

**জাতিসংঘের অধিবেশনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক ড. ইউনূসের**


জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছেন। সংক্ষিপ্ত এই বৈঠকে দুই নেতা বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার উপায়, জনসাধারণের স্বাধীনতা বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং বাংলাদেশের যুবসমাজকে সহায়তা করার বিষয়ে আলোচনা করেন।


বৈঠকে ড. ইউনূস কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা এবং দেশের উন্নয়নে তরুণদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আগের সরকার দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল এবং সেই প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠনে তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টা কীভাবে কাজ করছে। এসময় ড. ইউনূস কানাডার সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের জন্য ধন্যবাদ জানান। 


ড. ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কানাডায় উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ আরও বাড়ানোর জন্য কানাডার ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করার প্রয়োজনীয়তা। এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


বৈঠকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন ও তরুণদের সুযোগ সৃষ্টি করতে আমরা সবসময় পাশে থাকবো।”


ড. ইউনূস এই বৈঠকে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি আর্টবুক উপহার দেন, যাতে বিপ্লব চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও তরুণদের আঁকা গ্রাফিতির ছবি স্থান পেয়েছে। এই শিল্পকর্মগুলো তরুণদের দেশ পুনর্গঠনে সাহসী ভূমিকার প্রতীক বলে উল্লেখ করেন তিনি।


এর আগে ড. ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন, যেখানে তিনি বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগদান করেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। 


এ সকল বৈঠক ও আলোচনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের অংশ হিসেবে ড. ইউনূসের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার ও বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার প্রচেষ্টার একটি অংশ বলে বিবেচিত হচ্ছে।