আশাশুনিতে প্রাথমিক শিক্ষক বদলীতে সীমাহীন অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: সোমবার ২২শে এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১৬ অপরাহ্ন
আশাশুনিতে প্রাথমিক শিক্ষক বদলীতে সীমাহীন অনিয়মের অভিযোগ

প্রতি বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ জানুয়ারী- মার্চ মাসের মধ্যে বদলী হওয়ার সুযোগ পেতেন। শিক্ষক বদলীতে নানা রকম দূর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠতো। সরকার দূর্ণীতি ও অনিয়ম ঠেকাতে গত বছর প্রথম অন-লাইন বদলী কার্যক্রম শুরু করেন। এতে শিক্ষকগণের বদলীতে কিছু বিষয়কে সূচক ধরে বদলী নীতির এর বাস্তবায়ন করেন। আবেদনকারী শিক্ষকগনের আবেদনে তিনটি বিষয়ের অপশন পুরণ করে আবেদন করতে বলা হয়।


 আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা থেকে বিদ্যলয়ের দূরত্ব, স্বামী/ স্ত্রীর বিবাহ-বিচ্ছেদ/মৃত্যু এবং প্রতিবন্ধিতা। চুড়ান্ত নির্বাচনের জন্য কর্মরত বিদ্যালয়ে চাকুরীকাল এবং লিংগ১/২ (নারী) শিক্ষক হিসেবে কোটার সূচক নম্বর প্রাপ্তি। সর্বমোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কর্মরত বিদ্যালয়ে কর্মকাল-২৫ নম্বর, প্রতিবন্ধিতা- ১৫ নম্বর, স্থায়ী ঠিকানা হতে কর্মরত বিদ্যালয়ের দূরত্ব-২০ নম্বর স্বামী/স্ত্রীর এ বিবাহ-বিচ্ছেদ/মৃত্যু- ৩ ৩০ নম্বর এবং লি১/২ (নারী)- ১০ নম্বর। উক্ত ক্রাইটারিয়া হতে আবেদনে যাচাই ও বাছাই শেষে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীই নির্বাচিত হবেন। 


অন-লাইন ভিত্তিক বদলীতে এমন সুন্দর সিস্টেম থাকা সত্বেও যাচাই ও বাছাই প্রক্রিয়ায় ত্রুটির কারণে এবং আবেদনকারীর ভুল তথ্য পরিবেশনে আশাশুনি উপজেলার একাধিক বদলীতে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


অভিযোগ রয়েছে তিনি অনেতিক সুবিধা গ্রহন করে  আশাশুনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার যাচাই কাজে গাফিলতি করেন যার ফলশ্রুতিতে এখন কখনো একজন, পরবর্তীতে তাকে বাতিল করে আরেক জন এভাবে ই দিন কাটছে। 


উল্লেখ্য যে যাচাই কাযে যারা দূরত্ব বেশি দেখিয়েছে তারা স্কোরিং এ এগিয়ে। আবার বিয়ের পর সামীর বাড়ি গিয়েও তার পাশের বিদ্যালয়ে অবস্থান সত্ত্বেও তারা আবার বাবার ঠিকানা ব্যাবহার করেছে। দেখা গেছে বাড়ির ৫ কিলোমিটার এ চাকরি সত্ত্বেও ৩০ কিলো দূরত্ব এ চাকরি করতে আসে। অন্য উপজেলায় আবেদন ত্রুটির জনিত কারণে বাতিল করলেও আশাশুনি শিক্ষা অফিসার যাচাই অন্তে যাচাই সঠিক ভাবে না করায় আজ এই অবস্থা। 


তিনি অনেক অভিজ্ঞ হওয়া সত্ত্বেও তার এ গাফিলতি কিসের ইঙ্গিত সেটা সচেতন মহল কে ভাবিয়ে তুলেছে।  প্রকৃত যারা সঠিক আবেদন করেছেন তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি অবশ্যই বর্তমান সরকারের এই মহতি উদ্দ্যগ কে বাস্তবায়ন না করে এবং নায্য ব্যাক্তিকে তার নায্যতা বুঝিয়ে না দিয়ে আজ একজন ত কাল একজন এভাবে হাস্যকৌতুক মুখর এক অবস্থার সৃস্টি করে সরকারের মহতি উদ্দ্যগ কে বিঘ্নিত করেছেন। 


অনলাইন ভিত্তিক বদলী কার্যক্রমে কোন বিদ্যালয়ে সকল আবেদনকারী তাদের স্কোর সমূহ দেখতে পারছেন। আর একারণেই মিথ্যা তথ্য পরিবেশন কিংবা ত্রুটি যুক্ত স্কোরের বিষয়টি উঠে এসেছে। নিজের স্কোর দেখে অনেক আবেদনকারী হতাশ হয়েছেন বলে ভুক্তভোগী শিক্ষকগণ জানিয়েছেন।


 উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার বর্মন সবসময় যাচাই বাছাই ত্রুটি এড়িয়ে ডিপিও স্যারের উপর দায় দিলেও ডিপিও সাতক্ষীরা কথা হলে বলেন যে, আমি ত যাচাই কারী কর্ম কর্তা নই। সঠিক ও ভুল যাই করুক এটা সংশোধন এর উপায় ১৮ তারিখ ১২ টা পযন্ত ছিল এখন আর সম্ভব না। 


অভিজ্ঞ মহল মনে করেন,সঠিক আবেদন কারীর নায্যতা কর্মস্থল ফিরিয়ে দেওয়া সহ বিভাগীয় তদন্ত স্বাপেক্ষে আশাশুনি শিক্ষা অফিসার নৈতিকতা অবঙ্খলনের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।