আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বন্দুকধারীদের হানা, নিহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৫ই জুলাই ২০২২ ০৮:২৮ অপরাহ্ন
আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বন্দুকধারীদের হানা, নিহত ৬

আমেরিকায় (America) ফের বন্দুকবাজের হানা। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা চালাল ২২ বছরের এক বন্দুকবাজ। এলোপাথারি গুলিতে নিহত অন্তত ৬। জখম কমপক্ষে ২৪ জন। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তারা। গ্রেপ্তার হয়েছে হামলাকারীও। কিন্তু কী কারণে গুলি চালায় সে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ প্রসঙ্গে পুলিশের তরফেও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।


৪ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস (US Independence Day) । স্বাভাবিকভাবে এই দিনটিতে নানা অনুষ্ঠানে মেতে উঠেছিল দেশবাসী। শিকাগোর কাছে শহরতলি হাইল্যান্ড পার্কেও (Highland Park) স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ চলছিল। দর্শক হিসেবে পার্কের বাইরে বহু লোক জড়ো হয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শুরুর কয়েক মুহূর্তের মধ্যে বদলে যায় সেখানকার ছবি। স্থানীয় একটি দোকানের ছাদ থেকে ছুটে আসে গুলি। আচমকা এলোপাথারি গুলিতে জখম হয়ে মাটিতে পড়ে কাতরাতে থাকেন অনেকে। বাকিরা প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে শুরু করেন। নিমেষে হুলুস্থুল বেঁধে যায় হাইল্যান্ড পার্ক চত্বরে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৬ জনকে মৃত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি ২৪ জন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হাইল্যান্ড পার্কের পুলিশ। বন্দুকবাজকে তাড়া করে দ্রুত নিজেদের হেফাজতে নেয় তারা। শহরের পুলিশ প্রধান লো জগম্যান জানান, বন্দুকবাজকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ধৃতের নাম রবার্ট ক্রিমো (Robert Crimo)। বয়স ২২। এই ঘটনার জেরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হাইল্যান্ড পার্কের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ। আপতাত হাইল্যান্ড পার্ক চত্বর এড়িয়ে চলার পরামর্শও দিয়েছে তারা।


বন্দুবাজের হামলায় আম নাগরিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden) এবং ফার্স্ট লেডি অর্থাৎ প্রেসিডেন্টের স্ত্রী জিল। তাঁদের কথায়, “আমরা স্তম্ভিত। আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসেও বন্দুকবাজের হামলা মেনে নেওয়া যায় না। ফের স্বজনহারা হলেন বহু মানুষ।” উল্লেখ্য, আমেরিকার গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ ওয়েবসাইট বলছে, গত এক বছরে বন্দুকবাজের হামলায় অন্তত ৪০ হাজার মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বারবার এ ধরনের ঘটনায় আমেরিকার আগ্নেয়াস্ত্র আইন পরিবর্তনের দাবি ক্রমশ জোরাল হচ্ছে।