প্রকাশ: ১৫ মে ২০১৯, ১৬:২৮
জনপ্রিয় মেসেজিং আ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, তারা হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। তারা নিশ্চিত করেছে যে, গ্রাহকদের মোবাইল ফোন এবং ডিজিটাল ডিভাইসে এক ইসরায়েলি কোম্পানির তৈরি একটি স্পাইওয়্যার ঢুকিয়ে দিচ্ছে হ্যাকাররা। যারা মাধ্যমে দূর থেকে কারো মোবাইল কল বা টেক্সট বার্তার ওপর নজরদারি করা যাবে।
কিভাবে হ্যাকিং থেকে নিরাপদ থাকবেন?
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, এই স্পাইওয়্যার - যা ইসরায়েলে তৈরি বলে বলা হচ্ছে তা সেই নিরাপত্তা দেওয়ালও ভাঙতে সক্ষম, নজরদারি করতে সক্ষম। যে কলটির ঘাড়ে চড়ে এই স্পাইওয়্যার আপনার ফোনে ঢুকছে - সেই কলটি আপনি না নিলেও তা আপনা-আপনি আপনার ফোনে ইনস্টল হয়ে যাবে। সেই কলটি আপনি দেখতেও পাবেন না, কারণ হ্যাকাররাই তখন এ্যাপটির নিয়ন্ত্রণ নিযে নিয়েছে। তাই এখানে জেনে নিন, আর কি কি করতে পারেন আপনি। যদি আপনি নিজে বা আপনার কোন বন্ধু আপনাদের মধ্যকার হোয়াটসঅ্যাপের কথাবার্তা আইক্লাউডে বা গুগলড্রাইভে ব্যাকআপ করে রাখে - তাহলে একটা সমস্যা আছে।
সেটা কিন্তু এনক্রিপ্টেড নয় অর্থাৎ গোপনীয়তার সুরক্ষা এ ক্ষেত্রে কাজ করবে না। তাই গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাইলে আপনি হয়তো ব্যাকআপ ডিজএ্যাবল অর্থাৎ অকার্যকর করে দিতে পারেন। আপনার সেটিং-এ গিয়ে চ্যাট ব্যাকআপ অপশন থেকে আপনি এটা করতে পারেন। যে কোন তথ্য নিরাপদ এবং অন্যের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখার জন্য মোবাইল বা ডিজিটাল ডিভাইসে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন একটা ভালো উপায়। হোয়াটসঅ্যাপ সহ অনেক অ্যাপেরই নানা রকম নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার ব্যবস্থা আছে। আপনি যদি সেটিং>অ্যাকাউন্ট>প্রাইভেসিতে যান তাহলে আপনি সবই দেখতে পাবেন। সেখান থেকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন আপনার প্রোফাইল ফটো, বা আপনি কোথায় ছিলেন বা আছেন তা কে কে দেখতে পারবেন।
আপনি `read receipt` অর্থাৎ কারো পাঠানো বার্তাটি যে আপনি পড়েছেন তার প্রমাণস্বরূপ সেই টিক চিহ্নটা সুইচ অফ করে দিতে পারেন। আপনি যদি একজন আইনজীবী, এ্যাকটিভিস্ট, মানবাধিকার কর্মী বা সাংবাদিক হন - তাহলে ব্যাপারটা জরুরি। আপনি যদি এরকম কিছু না হন তাহলে হয়তো অতটা চিন্তার কারণ নেই।
ইনিউজ ৭১/এম.আর