খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রাজনীতির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দোষী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।
এ সংঘর্ষের তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যা দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে। এতে অন্তত ৬০ জন আহত হন এবং ১০ জনকে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ছাত্রদলের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দেন। মিছিলটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এলে ছাত্রদল সমর্থকদের সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন এবং পরিস্থিতি ক্যাম্পাসের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় ছাত্রদলের সঙ্গে বহিরাগতদের উপস্থিতি ছিল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরাও ছিল।
এদিকে সংঘর্ষের সময় রামদা হাতে থাকা যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
কুয়েট প্রশাসন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং কঠোরভাবে তা বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের চিহ্নিত করতে প্রশাসন কাজ করছে এবং তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।