বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দ্রুততার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৫২ অপরাহ্ন
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দ্রুততার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হুসেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  


বৈঠকে কানাডার মন্ত্রী জানান, তাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় উন্মুক্ত থাকবে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থী ভিসার সংখ্যা কিছুটা কমানো হয়েছে, তবে এটি বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানো হবে।  


এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা হয়। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানান, কানাডার উৎপাদনশীল কারখানাগুলো বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে যাতে দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী উপকৃত হয় এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।  


কানাডিয়ান মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ প্রচার ও সুরক্ষা চুক্তি (এফআইপিএ) নিয়ে আলোচনা চলছে এবং এটি স্বাক্ষরিত হলে কানাডার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আরও উৎসাহিত হবেন। তিনি মনে করেন, এই চুক্তি উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।  


বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের বিষয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং অবৈধ অর্থপাচার রোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। জবাবে কানাডার মন্ত্রী বলেন, তার দেশ কোনো দুর্নীতির অর্থ বা লুটপাট করা সরকারি টাকা রাখতে চায় না এবং এ বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।  


বৈঠকে কানাডার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দেওয়া হয়। আহমেদ হুসেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এই সরকারের প্রতি তাদের আশা-ভরসা রেখেছে এবং কানাডা এদেশের সার্বিক উন্নয়ন সহযোগিতায় আগ্রহী।  


প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে কানাডাকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে।  


বৈঠক শেষে দুই পক্ষই আলোচনার অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভবিষ্যতেও যোগাযোগ রাখার অঙ্গীকার করে।