রাঙামাটিতে সম্প্রীতির খোঁজে উচ্চপর্যায়ের সভা: ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি -খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
রাঙামাটিতে সম্প্রীতির খোঁজে উচ্চপর্যায়ের সভা: ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা

রাঙামাটি প্রতিনিধি: শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটির সেনানিবাসে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হাসান আরিফ। তিনি বলেন, “রাঙামাটিতে আসার সময় দেয়ালে দেয়ালে যে গ্রাফিতি দেখেছি, সেই গ্রাফিতির বার্তা পার্বত্য চট্টগ্রামেও দেখতে চাই। আমরা সকলে সম্প্রীতি চাই, কিন্তু কোথাও একটা ছন্দপতন হচ্ছে। বাইরে থেকে একটি ষড়যন্ত্র আমাদের সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য করা হচ্ছে।”


এদিনের সভায় রাঙামাটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একটি কমিশন বা কমিটি গঠনের দাবি ওঠে। বক্তারা বলেন, প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকল পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।


সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, “আমরা সম্প্রীতির অভাব চাই না। সকলকে এক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। এখানে ভেদাভেদ যেন না থাকে।” এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মইনুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।


সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা, যেমন বিএনপি, জনসংহতি সমিতি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতি, নিজেদের বক্তব্য ও পরামর্শ তুলে ধরেন। তারা স্থানীয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।


বক্তাদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে সকল পক্ষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তবে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। সম্প্রীতি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।