বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের প্রচেষ্টা দেশকে রাজনীতিশূন্যের ষড়যন্ত্র - নুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
এস.এম. সাইফুল ইসলাম
প্রকাশিত: শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:২৪ অপরাহ্ন
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের প্রচেষ্টা দেশকে রাজনীতিশূন্যের ষড়যন্ত্র - নুরু

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের প্রচেষ্টা দেশকে রাজনীতিশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। নুর আরও বলেন, "আওয়ামী দুঃশাসনের পরে রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে হবে।" তিনি বর্তমান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নেরও দাবি জানান। এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।


আলোচনা সভায় গণ অধিকার পরিষদের আইনজীবী অধিকার পরিষদের ১০১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নুরুল হক নুর বলেন, "গত ৫৩ বছরে জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই সংবিধান কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। তাই, আমরা মনে করি এই সংবিধান বাতিল করে নতুন একটি সংবিধান প্রণয়ন করা যেতে পারে।"


গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, "বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি স্বাধীনভাবে কাজ না করতে পারে, তবে এ দেশ প্রকৃত স্বাধীনতা পাবে না। সর্বত্র পরিবর্তন আনতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "পুলিশ প্রশাসনে পরিবর্তন আনা অত্যন্ত জরুরি। হাসিনার পুলিশ দিয়ে রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।"


নুর আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে যুবসমাজকে রাজনৈতিকভাবে অচেতন করতে চাচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে।" ছাত্র রাজনীতি বন্ধের এ ধরনের পদক্ষেপকে তিনি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।


নুর তার বক্তব্যে আরও বলেন, "দেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজন, যাদের ক্ষমতা থাকবে সংবিধান সংস্কার এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন করার।"


আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তারা সবাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংবিধান সংস্কার এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।