ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের স্লোগানে ছাত্রলীগ নেতাদের বিদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: শনিবার ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:০৩ অপরাহ্ন
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের স্লোগানে ছাত্রলীগ নেতাদের বিদায়

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনাটি ঘটে যখন শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানায়। ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা হলেন ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৫ ব্যাচের রেদোয়ান বিন আজাদ এবং পরিসংখ্যান ১৫ ব্যাচের তৌহিদ মাহমুদ তীর্থ।


শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই তীর্থ ও রেদোয়ান বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে জানা যায়, তারা সালাম হলে অবস্থান করছেন। এই খবরটি জানার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলের সামনে একত্রিত হয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে। শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে তীর্থ ও রেদোয়ান হল এবং ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন।


ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই দুই ছাত্রলীগ নেতার আচরণ ছিল অত্যন্ত অসদাচরণমূলক। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সন্ত্রাসীভাবে আচরণ করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। শিক্ষার্থীদের স্লোগানের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানোয় তারা দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।


নোবিপ্রবির বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক বনি ইয়ামিন এই ঘটনার পর মন্তব্য করেন, “যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর অত্যাচার করেছে এবং বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, তাদের ক্যাম্পাসে কোনো স্থান হবে না। আমাদের ক্যাম্পাস সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য এবং আমরা চাই সকল ধরনের অন্যায়ের প্রতিবাদ হোক।”


এদিকে, তীর্থ ও রেদোয়ানের সঙ্গে মন্তব্যের জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগের ফলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।


এই ঘটনা ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নীতিগত বিষয়গুলির প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোভাবের পরিবর্তনকে নির্দেশ করে। শিক্ষার্থীরা এখন আরও একত্রিত হয়ে তাদের অধিকার ও ন্যায্যতা রক্ষার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠছে, যা ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হতে পারে।