রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৩২ অপরাহ্ন
রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ

আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস শুরু হবে আগামী ১ বা ২ মার্চ। তবে ২ মার্চ সম্ভাব্য তারিখ ধরে ঢাকার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি এই সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক সরকার সরোয়ার আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  


প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী, ঢাকায় ২ মার্চ প্রথম রমজানে সেহরির শেষ সময় ভোররাত ৫টা ৪ মিনিট এবং ইফতারের সময় ৬টা ২ মিনিট নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের জন্য এই সময়সূচির সঙ্গে সর্বোচ্চ ৯ মিনিট যোগ বা বিয়োগ করে ইফতার ও সেহরির সময় নির্ধারণ করতে হবে।  


ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকার জন্য নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করা হবে। প্রত্যেক জেলা ও উপজেলার জন্য নির্ধারিত সময় জানতে স্থানীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয় ও মসজিদের সময়সূচি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।  


প্রতিবারের মতো এবারও সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন মসজিদেও পোস্টার আকারে সময়সূচি টাঙানো হবে, যাতে সবাই সহজেই তা অনুসরণ করতে পারেন।  


রমজান শুরুর আগে থেকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন রমজানের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাবে। রোজা, নামাজ, দোয়া ও ইসলামিক বিধান সম্পর্কে আলোকপাত করতে বিভিন্ন আলোচনার আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি সঠিক সময়ে সেহরি ও ইফতার গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে মুসল্লিদের যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করা হবে।  


ঢাকার বাইরের এলাকায় যারা বাস করেন, তারা স্থানীয় সময় অনুসারে সেহরি ও ইফতার করতে পারবেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ বিষয়ে দেশজুড়ে মসজিদগুলোর মাধ্যমে প্রচারণা চালাবে, যাতে সঠিক সময়ে ইবাদত পালন নিশ্চিত হয়।  


রমজান মাস মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র একটি সময়। এই সময়ে সঠিক সময়ে সেহরি ও ইফতার গ্রহণের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতি বছরই নির্ভরযোগ্য সময়সূচি প্রকাশ করে, যা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখে।  


এবারের সময়সূচি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সবাইকে উৎসাহিত করেছে। বিশেষ করে যারা ভ্রমণে থাকবেন, তারা স্থানীয় সময়ের সঙ্গে মিল রেখে সেহরি ও ইফতার গ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়েছে।