মাঠে অনুপস্থিত নেতাদের তালিকা তৈরি হবে-আওয়ামীলীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: বুধবার ২৪শে জুলাই ২০২৪ ১২:০০ অপরাহ্ন
মাঠে অনুপস্থিত নেতাদের তালিকা তৈরি হবে-আওয়ামীলীগ

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে মাঠে না থাকাকে সাংগঠনিক দুর্বলতা হিসাবে দেখছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ মহল। শিগগিরই দল ও সহযোগী সংগঠনের কোথায় কি সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে এবং কেন তারা মাঠে নামেনি তা চিহ্নিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দায়িত্বশীল পদে থেকেও যারা এ সময়ে মাঠে ছিলেন না বরং আত্মগোপনে চলে গেছেন, তাদের তালিকা তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।



মঙ্গলবার বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় সভাপতির বরাত দিয়ে এ নির্দেশনার কথা জানান। একই সঙ্গে তিনি নেতাকর্মীদের ছয়টি নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলেন। সেগুলো হলো-কারফিউ আইন ভঙ্গ না করে নেতাকর্মীদের অলিগলিতে অবস্থান নেওয়া, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে থানায় তালিকা দেওয়া, আহত ও নিহত নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করা, গুজব প্রতিরোধে মসজিদ ভিত্তিক কাজ করা, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রাখা এবং নিজ নিজ পাড়া-মহল্লায় সমন্বয় সভা করা। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র যুগান্তরকে এসব তথ্য জানায়।


সূত্র জানায়, এবারের ঘটনায় দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব ফুটে উঠেছে। বৈঠকে একই সঙ্গে সমন্বয়হীনতা কাটিয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করতে দলের সিনিয়র নেতা, দলীয় সংসদ-সদস্য ও দলীয় কাউন্সিলর এবং সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সমন্বয় করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও ঢাকার দলীয় সংসদ-সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকার সিটি মেয়র, সব সহযোগী সংগঠনের ঢাকা মহানগরের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে দলীয় সভাপতির নির্দেশনাগুলো নেতাকর্মীদের জানান। তিনি বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন, তিনি আমাদেরও চোখ-কান খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।


সভায় ওবায়দুল কাদের রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো চিহ্নিত করার কথা জানান। এর মধ্যে রয়েছে-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, মোহাম্মদপুর, রামপুরা, নতুন বাজার, কুড়িল বিশ্বরোড, উত্তরা ও গাবতলী। নগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের এসব স্থানে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কারফিউ চলার কারণে মূল সড়কে একত্রে সমাবেশ না করে প্রতিটি গলি ও মোড়ে মোড়ে অবস্থান থাকবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের।