ভারতের বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ইনকিলাব মঞ্চের লং মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৩১ অপরাহ্ন
ভারতের বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ইনকিলাব মঞ্চের লং মার্চ

বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদীতে ভারতের অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ইনকিলাব মঞ্চ ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে একটি লং মার্চ শুরু করেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানী ঢাকার শাহবাগ থেকে ১০টি ট্রাকযোগে এই লং মার্চ শুরু হয়।


লং মার্চ শুরুর আগে শাহবাগে একটি সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ভারত বিরোধী নানা স্লোগান দেন এবং তাদের দাবিগুলি তুলে ধরেন। 


ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অসংখ্য নদীর সংযোগ রয়েছে। ভারত বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে অবহেলা করে এসব নদীতে বাঁধ নির্মাণ করেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ভারত যতগুলো বাঁধ নির্মাণ করেছে, তা ভেঙে ফেলতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, কোনো দেশ এককভাবে সীমান্ত নদীতে বাঁধ নির্মাণ করতে পারে না।”


তিনি আরও বলেন, “এটা ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার। তারা পুরো দেশকে এক ধরনের আয়নাঘর তৈরি করে রেখেছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”


বিক্ষোভ মিছিল শেষে লং মার্চ শুরু হয় এবং এটি প্রথমে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা হয়ে চলবে। পরে চান্দিনায় একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৪ টায় কুমিল্লার টাউন হলে একটি বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে থেকে পদযাত্রা নিয়ে বিবির বাজার পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে। 


লং মার্চের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশ এবং বিদেশে বিপুল জনমত তৈরি করা। আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সীমান্ত নদীতে বাঁধ নির্মাণ বাংলাদেশের পরিবেশ এবং জীবনযাত্রার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।


এছাড়া, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা জানান, তারা ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এই লং মার্চের মাধ্যমে একটি বৃহৎ আন্দোলনের সূচনা করতে চান। জনগণের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ সমস্যার সমাধানে চাপ সৃষ্টি করতে চান তারা। 


বিক্ষোভকারীরা আশা করছেন যে, তাদের এই লং মার্চ এবং জনমত গঠনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশি জনগণের অবস্থান স্পষ্ট হবে এবং ভারতকে বাধ্য করা যাবে এই সমস্যার সমাধানে।