সরকারিভাবে বরাদ্দ করা ওষুধ স্টকে থাকা সত্ত্বেও রোগীদের দেওয়া হয় না। বাধ্য করা হয় কোম্পানির ওষুধ কিনতে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম এমন ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির কর্মকর্তা (জনসংযোগ) উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে সরকারিভাবে বরাদ্দ করা ওষুধ বাইরে বিক্রি করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের খুলনা অফিস থেকে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, অভিযানের সময় টিম প্রথমে ওই অফিসে ছদ্মবেশে অবস্থান করে। অভিযানের সময় টিম ছদ্মবেশে সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের থেকে প্রেসক্রিপশনের ছবি সংগ্রহ করে। সেখানে তারা দেখতে পায় সরকারিভাবে বরাদ্দ করা ওষুধ স্টকে থাকা সত্ত্বেও অন্য কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হয়েছে। টিম ওষুধ সরবরাহ রেজিস্ট্রার যাচাই করেও রেজিস্ট্রার লেজার বুকে হালনাগাদ পায়নি। অভিযানের সময় সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী সেবাগ্রহীতাদের সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়।
অন্যদিকে মঙ্গলবার চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উত্তর শাখায় অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি থেকে গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয় এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।