তিন দিন পর করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধের আশঙ্কায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে মানুষের ঢল নেমেছে। ঠেলাঠেলি আর হুড়োহুড়িতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। চট্টগ্রামে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশকে। বেশিরভাগ জায়গায় উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। টিকা প্রত্যাশীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা স্বাস্থ্যকর্মীদের।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই কেন্দ্র কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। টিকাকেন্দ্রের দরজা খোলা মাত্রই হুমড়ি খেয়ে পড়েন সবাই।
ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ হেলথ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার কেন্দ্রে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলায় আহত হন অন্তত ১০ জন। এদিন টিকা নিতে আসা বেশিরভাগই ছিলেন পোশাক শ্রমিক। অনেকেই বলছেন, কয়েকদিন ধরেই আসছি। আজও এসে সারাদিন চলে গেল।
এদিকে, চট্টগ্রামে সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতালে প্রথম ডোজ নিতে আসেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। লাইনে না দাঁড়িয়ে কে কার আগে টিকা নেবেন শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে টিকা দিতে না পারায় বিক্ষোভও করেন অনেকে। এ সময় পুলিশের হস্তক্ষেপে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে, নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে প্রথম ডোজ টিকা নেন শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার বলেন, প্রথম ডোজ ২৬ ফেব্রুয়ারির পর বন্ধ হয়ে যাবে- এটা ভুল তথ্য ছিল। পরে সংশোধন হয়েছে। ২৬ তারিখে প্রথম ডোজের গণটিকা দেওয়া হবে। এরপরেও প্রথম ডোজ দেওয়া যাবে।
করোনার টিকা পাচ্ছেন বাগেরহাটের জেলেপল্লির মানুষও। লাইনে অপেক্ষা করতে হলেও ভ্যাকসিন পেয়ে খুশি তারা। তারা বলেন, আরও আগে যদি দেওয়া যেত, তবে ভালো হত। টিকা নেওয়ার পর নিজের ভেতর ভয়টা কাজ করে না।
আগামী ২৬ তারিখ সারা দেশে একদিনে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।