স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই হিলি'র ওএমএস বিক্রয়কেন্দ্রে

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:১৯ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই হিলি'র ওএমএস বিক্রয়কেন্দ্রে

দিনাজপুরের (হিলি)হাকিমপুর উপজেলার ওএমএসের বিক্রয় কেন্দ্র গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পারার কোন বালাই নেই। ক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক দূরত্ব না মেনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য নেওয়া, মাস্ক ব্যবহার না করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে ক্রেতাদের মধ্যে উদাসীনতা দেখা গেছে।


মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারী) হাকিমপুর হিলি পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি ওএমএস বিক্রয়কেন্দ্র গুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 


হিলি স্থলবন্দর এর আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের বিল্ডিং এর নিচে ওএমএস কেন্দ্রে পণ্য নিতে আসা শুকুর আলী বলেন, আমার মাস্ক আছে। আমি পান খাচ্ছিলাম, তাই মাস্কটা একটু খুলে রেখেছি। আমি দুই ডোজ টিকা নিয়েছি। তারপরও মাস্ক পরতে হবে। নিজের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই মাস্ক পরতে হবে।


জালালপুর কেন্দ্রে পণ্য নিতে আসা আরাফাত হোসেন বলেন, সকালে  তাড়াতাড়ি কেন্দ্রে আসতে হয় না হলে চাল আটা পাওয়া যায় না। তাই আজ তাড়াতাড়ি আয়ছি মাস্ক নিয়ে আসার কথা মনে নাই। আজকেই শুধু মাস্ক পড়ি নাই। তাছাড়া মাস্ক পড়ি।


হিলি বাজার কেন্দ্রে পণ্য নিতে আসা ডলি বেগম বলেন, হারা গরীব মানুষ হামার করোনা নাই। সবাই পরে তাই হারাও পরি। কিন্তু তারাহুরা করে আয়ছি মাস্ক নিয়ে আসি নাই।


চাল সরবরাহকারী কাওসার আলী বলেন, সরকারের বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে ওএমএসের মাধ্যমে চাল ও আটা দেওয়া হচ্ছে। ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন এই আটা ও চাল দেওয়া হয়। যারা চাল ও আটা নিতে আসছে আমরা তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়াতে ও মাস্ক পরতে বলছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা মানছেন না, বললেও শুনছেন না। মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। এ জন্য কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারছে না।


হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন,  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ বেশকিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সেগুলো মেনে চলতে সাধারণ মানুষ সচেতন রয়েছে কি-না সে বিষয়টি দেখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা তাদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ চলছে বলে জানান তিনি।