শেবাচিমে হামলা, চিকিৎসক-শিক্ষার্থীর ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের আল মাহমুদ অভিযোগ করেন, “শুরুতে আমরা স্বাস্থ্য সংস্কার আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে এ আন্দোলনের নামে আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করা হচ্ছে। আমাদের রাস্তায় বের হলেই গালিগালাজ, ধাওয়া ও হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।” তিনি মহিউদ্দিন রনি ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফিসহ উসকানিদাতাদের গ্রেফতারের দাবি জানান। একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা সোমবার সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ডা. নাজমুল হুদা বলেন, “গত ১৪ আগস্ট আমরা নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিতে গিয়েছিলাম। হাসপাতাল পরিচালকের অনুরোধে রোগীর স্বার্থে তা প্রত্যাহার করি। কিন্তু ১৭ আগস্ট আবারও মেডিসিন বিভাগের ডা. দিলীপ রায়ের উপর হামলা করা হয়। হাসপাতালে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এতে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার না করা হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সব চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

মিড লেভেল ডাক্তারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. শাখাওয়াত হোসেন সৈকত বলেন, “১৭ আগস্ট মহিউদ্দিন রনির নেতৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা হাসপাতালের প্রবেশ পথে অবস্থান নেয় এবং চিকিৎসকদের হুমকি দেয়। ডা. দিলীপ রায়কে বেদম মারধর করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।”

সোমবার দুপুরে হাসপাতালের সামনে চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে বক্তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। তারা বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার না হলে একযোগে কর্মবিরতিতে যাবেন।

এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর জানান, “আমি ছাত্র, চিকিৎসক ও স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছি এবং রোগীদের যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না করা হয় সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছি।”