আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে জামালপুরের প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ। অথচ আয়রণযুক্ত পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। এতে রোগবালাই যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন সামগ্রী। জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, অতিমাত্রায় আয়রণ আর পাথরের স্তরের কারণে বসানো যাচ্ছে না সরকারি নলকূপ। ফলে তিন অর্থবছর ধরে কাজে আসছে না বরাদ্দের ৫০ লাখ টাকা।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বেশিরভাগ মানুষের একই দশা। কেউ কেউ গভীর নলকূপ বসালেও কিছুদিন পর থেকেই উঠছে আয়রণযুক্ত পানি। বাধ্য হয়ে ব্যবহারও করতে হচ্ছে। এতে বাড়ছে রোগবালাই। স্থানীয় এক গৃহবধূ বলেন, ভাত-তরকারী রান্না করলে ভাত লাল হয়ে যায়। আবার তরকারী কালো হয়ে যায়। এছাড়া বাড়িঘর ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত জিনিসপত্রেও ফুটে উঠেছে আয়রণের রঙ। স্থানীয়রা বলছেন, ২শ’ ফুটের মধ্যে পানির স্তরে আয়রণের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। আবার ৩২০ ফুট পর্যন্ত বেশি পাথর থাকায় সরকারি নলকূপ বসানো যাচ্ছে না।
বিষয়টি স্বীকারও করে জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, বেশি গভীরতায় নলকূপ স্থাপনের চেষ্টা চলছে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পাইনি বলে অত্র এলাকায় পাম্প দিতে পারছি না আমরা। জামালপুর জেলায় ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও তিন অর্থবছরে স্থাপন হয়নি একটি নলকূপও।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।