এনআইডি সংশোধনে সাড়া না দিলে বাতিল হবে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৭ই জানুয়ারী ২০২৫ ১২:০৩ অপরাহ্ন
এনআইডি সংশোধনে সাড়া না দিলে বাতিল হবে আবেদন

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবেদনকারীরা এসএমএসের মাধ্যমে শুনানিতে সাড়া না দিলে তাদের আবেদন বাতিল করা হবে। পরপর তিনবার এসএমএস পাঠানোর পরও যদি সাড়া না পাওয়া যায়, তাহলে আবেদন চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হবে। ইসির এনআইডি সেবা সহজকরণ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।  


কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ নির্দেশনা দিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এনআইডি সংশোধনের ঝুলে থাকা আবেদনগুলো নিষ্পত্তির জন্য একটি বিশেষ কর্মসূচি বা ক্রাশ প্রোগ্রাম চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।  


কমিশন সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রায় তিন লাখ ৭৮ হাজার এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তিতে সময়সীমা নির্ধারণ করে একটি কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। টাইম বাউন্ড স্ট্রাকচারের মাধ্যমে আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অধিক সংখ্যক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। বিশেষ করে (গ) এবং (খ) ক্যাটাগরির আবেদনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে।  


এনআইডি মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, “আমাদের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে অনেক আবেদন নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। কমিশনের অনুমতি নিয়ে সীমিত লোকবল দিয়ে একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করব। আগামী তিন মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি আশা করছি। প্রতিদিন হাজারো আবেদন নিষ্পত্তির জন্য আমরা পরিকল্পনা তৈরি করেছি। অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগের বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”  


ইসি আরও জানিয়েছে, এনআইডি সংশোধনের সময় আবেদনকারীর সাড়া নিশ্চিত করার জন্য ধারাবাহিকভাবে তিনবার এসএমএস পাঠানো হবে। আবেদনকারী সাড়া না দিলে সেটি বাতিল করার বিধান কার্যকর করা হবে।  


এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এনআইডি সংশোধন সেবায় দুর্নীতি কমবে এবং সময়মতো আবেদন নিষ্পত্তির কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী কমিশন। মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তারা এই ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ঝুলে থাকা প্রায় চার লাখ আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কাজ শুরু করবেন।  


এ উদ্যোগ এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইসি আশা করছে, সেবা প্রক্রিয়ায় সময়মতো সাড়া নিশ্চিত করা গেলে আবেদন নিষ্পত্তি আরও দ্রুত হবে এবং সাধারণ মানুষের হয়রানি কমে আসবে।