চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ঝিনাইদহ প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেনের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে ঝিনাইদহের সাংবাদিক সমাজ। শনিবার বেলা ১১টায় হামলার প্রতিবাদে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব ও টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম যৌথ ভাবে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
সকালে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিন শেষে স্থানীয় পোষ্ট অফিসের সামনে শেষ হয়। এখানে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসুচিতে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব, ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, রিপোটার্স ইউনিটি, প্রেস ইউনিটি, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত শতাধীক সাংবাদিক অংশ গ্রহন করেন।
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কালবেলা পত্রিকার ব্যুরো চীফ মাহমুদ হাসান টিপু, দৈনিক ইত্তেফাকের বিমল কুমার সাহা, মানবাধিকার কর্মী ও ইউএনবির প্রতিনিধি আমিনুর রহমান টুকু, বাংলাদেশ পোষ্টের দেলোয়ার কবীর, দৈনিক কালেরকন্ঠের এম সাইফুল মাবুদ, বাংলাদেশে টেলিভিশনের সাবেক জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক দিনকাল ও লোকসমাজের স্টাফ রিপোর্টার আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ টেলিভিশন সংবাদিক ফোরামের সভাপতি শিপলু জামান, রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবির, প্রচার সম্পাদক এস এম, রবি, প্রেস ইউনিটির সভাপতি শাহিদুল এনাম পল্লব ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন মাহমুদ। অনুষ্ঠানে পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ টেলিভিশন সংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ৭১ টিভির রাজিব হাসান।
বক্তারা, সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেনের উপর হামলাকারী বাকী আসামীদের দ্রæত গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা আজ সারা দেশেই নির্যাতিত। হামলা এমন কি হত্যার শিকার হওয়া সাংবাদিকরা নুন্যতম বিচার পায়না। ফলে মাঠ সাংবাদিকতা আজ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেনের উপর হামলার চালিয়ে গুরুতর আহত করে স্থানীয় বখাটে বিপ্লব ও তার ফিরোজ।
এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় চারজনকে আসামী করে একটি মামলা করা হয়। পুলিশ প্রধান আসামী বিপ্লবকে আটক করলেও বাকী আসামীরা ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।